বিভিন্ন তাবিজ লিখার ভিন্ন ভিন্ন সময়
বিভিন্ন তাবিজ লিখার ভিন্ন ভিন্ন সময়
জানা দরকার যে মানুষের উদ্দেশ্য ও সম্যসা যেমন নানা ধরনের রয়েছে, উহা প্রতিকারের তাবিজাদি ও নানা রকমের রয়েছে। সকল প্রকার তাবিজ একই নিয়মে বা একই সময়ে লিখলে তার ফলে পাওয়া যায় না। বরং অবস্থা ভেদে তার সময় ও তারিখ বেচে নিতে হয়।
▶ভালোবাসা সম্পর্কিত তাবিজঃ চন্দ্র মাসের প্রথম রবিবারে সূর্যোদয়ের সময় লিখতে হয়। আর সোমবার লিখলে জোহর ও আসরের নামাজের মধ্যেবর্তী সময়ে এবং শুক্রবারে লিখলে উজান বেলা লিখতে হয়।
▶বিচ্ছেদ ঘটানো তাবিজ এ তাবিজ বাম হাত দ্বারা লিখলে ফলে ভালো হয়। এই তাবিজ চন্দ্র মাসের শেষের শনিবার প্রথম প্রহরে, মঙ্গলবার দিনের শেষ ভাগে লিখতে হয়।
▶বশীকরণ তাবিজঃ এ জাতীয় তাবিজ লিখবার কালে মুখে গোল মরিচ রেখে নিবে এবং খুব ধীরে ধীরে শ্বাস প্রশ্বাস ফেলবে। এটা ফলের রস দ্বারা লিখলে শীঘ্র কর্যোদ্বার হয়।
▶রোগ-ব্যাধি সংক্রান্ত তাবিজঃ এ সমস্ত তাবিজ ফজরের নামাজের পরে লিখলে খুব ভালো ফলে পাওয়া যায়।
▶যাদু-টোনা সংক্রান্ত তাবিজঃ এ তাবিজ সাধারণত শুক্রবার এবং সোমবার আসরের নামাজের পরে লিখলে কালির্যকারিতা বেড়ে যায়।
▶জ্বীন-ভূত সংক্রান্ত তাবিজঃ এ সকল তাবিজ শনিবার, মঙ্গলবার কিংবা বৃহস্পতিবার ফজর অথবা এশার নামাজের বাদে কয়েকবার চারি কুল,আয়াতুল কুরসি এবং সাতবার দরূদ শরীফ পাঠ করে লিখতে হবে।
▶উদ্দেশ্য সফল বিষয়ক তাবিজঃ এ তাবিজ লেখার পূর্বে লেখক তেত্রিশ বার "ইয়া মুজীরু" তেত্রিশ বার "ইয়া ক্বাদিউ" তেত্রিশ বার "ইয়া মুসাব্বিরু" ও এগারো বার দরূদ শরীফ পাঠ করে নিবে।
▶অন্যান্য তাবিজ লেখার নিয়মঃ অন্যান্য যে কোন তাবিজ লেখার কোন নিদিষ্ট সময় নেই। আল্লাহর নাম স্বর্ণ করে এবং পালনীয় বিষয়সমূহ পালন করে যে কোন দিন ও সময়ে লিখতে পারবে।।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ