তাবিজ লেখার নিয়ম ও আদব
তাবিজ লেখার নিয়ম ও আদব
তাবিজ লেখার পূর্বে অব্যশয় অযু করবে। গোসল করলে আরো ভালো হয়। তারপর সুগন্ধি ব্যবহার করবে এবং কিছুটা সুগন্ধি নিজের নিকটে রাখবে। তাবিজ লেখার সময় কারোও সাথে কথাবার্তা বলবে না এবং কোন নাপাক রমনীকে কাছে আসতে দিবে না। তাবীজের উপরে অব্যশয় আরবীতে ٧٨٦ লিখবে।
প্রেম-প্রীতি বা বশীকরণের তাবিজ লেখার সময় মুখে মিষ্ট কিছু রেখে নিবে। কোন প্রকার হারাম কাজের জন্য কোনও তাবিজ লিখবে না। লিখলে ভয়ংকর পাপ হবে। ভালোবাসার তাবিজ লেখার সময় ভালোবাসার পাত্র বা পাত্রীর বাড়ীর দিক হয়ে বসবে এবং মনে করবে, সে ব্যাক্তি যেন সম্মুখে দন্ডায়মান।
শত্রুতা সাধনের জন্য লিখলে মুখে তিত্ত কোন বস্তু রাখবে।
শত্রু মুখ বন্ধ কারার জন্য তাবিজ লেখার সময় দাঁতে কিছু মোম চেপে ধরে লিখবে এবং মাসের শেষে দিকে তাবিজ লিখবে। খারাপ স্বপ্ন বা অস্ত্র বন্ধ করার জন্য লিখলে কালি দ্বারা লিখবে।
কোন কোন বুযুর্গ বলেন, যে ব্যাক্তির জন্য তাবিজ লিখবে, সে ব্যাক্তির গাত্র বর্ণের প্রতি খেয়াল রাখবে। গায়ের রং লাল হলে লাল রং হলুদ হলে জাফরান দ্বারা লিখবে। আর সাদা হলে কাফুর অথবা চুনা দ্বারা এবং কালো রং হলে কালো কালি দিয়ে লিখবে।
তাবিজ যদি মাদুলি বা অন্য কোন কিছুর মধ্যে ভরা থাকে, তবে সাথে নিয়ে পায়খানা প্রভাব করা দোহনীয় নহে। তবে খুলে রেখে যাওয়াই ভালো। এতে প্রমানিত হয় যে রৌপ্য বা তামার পাতে খোদাই করা তাবিজ যদি কাপড় বা অন্য কোন কিছুতে ঢাকা থাকে, তবে দোহনীয় নহে। কিন্তু খোলা অবস্থায় পায়খানা প্রসাবখানায় গেলে পাপ হবে।
যে তাবিজ বা আমলে আল্লাহর নাম নাই,এটা লেখা বা পড়া জায়েজ নহে। যাদু টোনা শিক্ষা করা হারাম, এতে ঈমান নষ্ট হয়ে যায়। আল্লাহ পাক এ জাতীয় আমল হতে মুসলমানদের রক্ষা করুন।
এখন একটি প্রশ্ন যে, তাবিজ লিখে বা ঝাড়-ফুক দিয়া কিছু টাকা পয়সা গ্রহণ করা জায়েজ কিনা?? এর উত্তর এই যে--যার মনে কোন প্রকার ধোকাবাজী নেই। এমন ব্যাক্তি গ্রহণ করতে পারে। (বিঃদ্রঃ অনলাইনে কাজের জন্য কাউকে আগে টাকা দিবেন না ) ধোঁকাবাজ ব্যাক্তির তাবিজ লেখা বা তৎপরিবর্তে কিছু গ্রহণ করা, কোনটাই জায়েজ নেয়। যেমন যে ব্যাক্তির তাবিজ লেখা সম্বন্ধে কোন প্রকার অভিজ্ঞতা নেই অথচ কিতাব দেখে তাবিজ দেয় অথবা ছু ছু করে ফুক দেয়। এটাই জ্ঞাত তাবিজ লেখার সময় নিচের বিষয় গুলি ভালভাবে লক্ষ রাখতে হবে।
☑প্রথমে অযু গোসল করে পাক পবিত্র হবে।
☑ পাক সাফ কাপড় পরিধান করবে।
☑ পাক জায়গায় বসবে।
☑তাবিজ লেখার সময় কারো সাথে কথা বলা যাবে না।
☑ তাবিজ লেখার সময় কোন মহিলা ছায়া যেন নিজের শরীরে না পড়ে।
☑প্রণয় ও বশিকরন বিষয়ক তাবিজ গুলি মাসের প্রথম ভাগে লিখবে।
☑ অন্যান্য তাবিজ যে কোন সময় লেখা চলবে।
☑ আতশী তাবিজ লিখবার সময় পূর্ব দিকে মুখ করে একজানু অবস্থায় বসে লিখবে এবং নিকটে আগুন রাখবে।
☑ বাদী তাবিজ লিখবার সময় পশ্চিম দিকে মুখ করে খুব উচ্চ স্থানে বসবে।
☑ আবীর তাবিজ লিখবার সময় সমুদ্র, নদী,পুকুর অথবা কোন কূপের কিনারায় উত্তর দিকে মুখ করে বসবে।
☑ খাকি তাবিজ লিখবার সময় জন মানবহীন স্থানে একজানু দক্ষিণ দিকে মুখ করে বসবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
0 মন্তব্যসমূহ